মোঃ আল আমিন , স্টাফ রিপোর্টার:
সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অসহায় পরিবারগুলোর কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছেন ২৫হাজার টাকা করে। অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দ্বিতীয় ধাপের (গুচ্ছ গ্রামের) ১৮টি ঘর। ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ (গুচ্ছ গ্রামের) এর আওতায় এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চরকগছিয়া গ্রামের রশিদ গাজীর ছেলে আলমগীর ও মানিক মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লাকে ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ঘর প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে চুক্তি করে নগত ১১হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার আগেই ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যে ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযুক্ত এই ইউপি সদস্য বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চাঁন্দখালী গ্রামের ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম খান, ও আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ০১ং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব মোল্লা।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী রুবেল বলেন, এক দেড়মাস আগে আমার কাছে ইব্রাহিম মেম্বার ও আইয়ুব মোল্লা ঘর দেয়ার কথা বলে ২৫হাজার টাকা চাইছিলো আমার মা রাজিয়া বেগমের সাথে কথা বলতে বলছি তারপর তারা মায়ের কাছ থেকে নগদ ১১হাজার টাকা নিয়েছেন বাকী ১৪ হাজার টাকা জোগার করে দিবো।
ভুক্তভোগী রুবেল মোল্লার মা রাজিয়া বেগম বলেন, আমি অসহায় থাকার ঘর নেই। স্থানীয় চরকগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হোস্টেলে রান্না করি এবং সেখানেই থাকি আমার ছেলের নামে একটা ঘর দিলে আমরা সবাই থাকতে পারবো সে জন্য ইব্রাহিম মেম্বার আইয়ুব মোল্লার কাছে টাকা দিতে বলছে তাও সব দিতে পারিনাই আমি ও আলমগীর ১১হাজার করে দুইটা ঘরের জন্য ২২হাজার টাকা দিছি। বাকি ১৪হাজার টাকা করে দুই জনে ২৮ হাজার টাকা জোগার করে পরে দিবো।
এবিষয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব মোল্লা বলেন, এক দেড় মাস আগে কাগজপত্র আমার কাছে দিয়েছে তারা টাকা পয়সার বিষয়ে সে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খান ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেই নাই।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত আমি কোন অভিযোগ পাইনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার গুচ্ছ গ্রামের ঘর দিয়ে কেউ টাকা নিতে পারবে না খোঁজখবর নিয়ে আমি আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।