রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রুগী সেজে ( দুদক ) এর অভিযান। জাতীয় নির্বাচন কবে, বললেন প্রধান উপদেষ্টা আজ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। পরিত্যক্ত অবস্থায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিস্তল উদ্ধার চুয়াডাঙ্গায় ত্রাণের ১৫০টি কম্বলসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক কুটুরিয়া আইডিয়াল মাদরাসায় মক্তবের ছাত্র-ছাত্রীদের ছবক প্রদান ও দোয়ার অনুষ্ঠান ইউপি চেয়ারম্যান – মেম্বরদের মেয়াদ হবে ৩ বছর বাস্তবতা স্বীকার করে সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, সাড়ে ৩০০ মতো ইউপিতে দায়িত্বশীল কেউ ছিল না। সেখানে প্রশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। বাতিল করলে গ্রাম পর্যায়ে সেবাপ্রাপ্তিতে ধাক্কা লাগবে। কেননা, একটি গ্রাম নিয়েও ওয়ার্ড গঠিত। সেজন্য ইউপি ভেঙে দিয়ে গ্রাম পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দেওয়ায় ব্যাঘাত হোক সেটি চায় না সরকার। তিনি বলেন, আপাতত প্রশাসক পরিচালিত সিটি-পৌরসভা-উপজেলা ও জেলা পরিষদে নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে নির্বাচন কখন হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে আগে। তাছাড়া সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে এখনো পরিকল্পনা করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। এলজিআরডি উপদেষ্টা বলেন, প্রশাসক পরিচালিত হলেও স্থানীয় সরকারের সেবা নিশ্চিতে কোনো ছাড় দেবে না মন্ত্রণালয়। দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে রিটের শুনানি হতে পারে আজ

গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রুগী সেজে ( দুদক ) এর অভিযান।

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৯ বার পঠিত

মোঃ শিহাব উদ্দিন, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,

গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ( দুদক ) এর অভিযান আজ সকাল ০৯: ঘটিকা হতে দুপুর ১ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, গোপালগঞ্জ-এর উপপরিচালক মো: মশিউর রহমান এর নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়, মো: সোহরাব হোসেন-সোহেল,উপসহকারী পরিচালক আফছার উদ্দিন ও মো: আল- আমিন হোসেন এর সমন্বয়ে গঠিত টিম গোপালগঞ্জ জেলা শহরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ -এ সরেজমিনে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের শুরুতে ৯.০০ হতে ১০.৩০ পর্যন্ত গোপনে রুগী সেজে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের ভিডিও ধারণসহ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

পরিদর্শনকালে টিমের নিকট গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের যেসকল অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে তা

বিপুল পরিমান চিকিৎসা প্রত্যাশি জনগণ উপস্থিত থাকলেও আউটডোরে অধিকাংশ ডাক্তার ও কর্মচারী অনুপস্থিত ছিলেন বিধায় অনেকে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না মর্মে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কয়েকজন ডাক্তার বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন মর্মেও তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এমআরই, সিটি স্ক্যান মেশিন দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে অচল রয়েছে। একটি সিন্ডেকেট ইচ্ছাকৃতভাবে মেরামত না করে জনগণকে উচ্চ মূল্যে বেসরকারী হাসপাতাল থেকে সেবা নিতে বাধ্য করছেন মর্মে জানা গেছে। এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
এক্স-রে মেশিন এর ফ্লিম না থাকার অযুহাতে দীর্ঘসময় এক্সরে করতে না পারায় সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সার্টিফিকেট বাণিজ্যে জড়িত হাসপাতালের কয়েকজনের সিন্ডিকেট এর সন্ধান পাওয়া গেছে। ৫০০০/- থেকে ৫০০০০/- নিয়ে পুলিশ কেস সংক্রান্ত মেডিকেল সনদ বাণিজ্য হচ্ছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ তৎক্ষনাৎ চাকরি রত এক ব্যক্তি স্বাক্ষর করেন।
ইসিজি মেশিন ব্যবহারে ৪০০-৫০০ টাকা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা এবং ট্রলি ব্যবহারকারীদের থেকে অর্থ আদায় করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। জানা গেছে দুদকের এই অভিযান, অব্যাহত থাকবে
গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক জিবিতেশ বিশ্বাসের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু অনিয়ম থাকতে পারে, তবে তাৎহ্মনিক সব সত্য এটা প্রমান করা সম্ভব নয়,সময় নিয়ে তদন্ত করলে বোঝা যাবে কতটা অনিয়ম ও দূর্নীতি সঠিক।
দুদকের এ অভিযানে সাধারন জনগনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা অত্যান্ত খুশি ও আনন্দিত, আমরা মনেকরি এখন থেকে গোপালগঞ্জ এই হাসপাতালে সঠিক সেবা পাবে সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে দুদক উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, ‘দীর্ঘ সময় ধরে এই হাসপাতালটি পর্যবেক্ষণ করেছি। ডাক্তাররা সঠিক সময়ে হাসপাতালে আসেন না, রোগীরা কেন হাসপাতালের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তা তদন্ত করে দেখছি।’

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ

বাস্তবতা স্বীকার করে সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, সাড়ে ৩০০ মতো ইউপিতে দায়িত্বশীল কেউ ছিল না। সেখানে প্রশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। বাতিল করলে গ্রাম পর্যায়ে সেবাপ্রাপ্তিতে ধাক্কা লাগবে। কেননা, একটি গ্রাম নিয়েও ওয়ার্ড গঠিত। সেজন্য ইউপি ভেঙে দিয়ে গ্রাম পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দেওয়ায় ব্যাঘাত হোক সেটি চায় না সরকার। তিনি বলেন, আপাতত প্রশাসক পরিচালিত সিটি-পৌরসভা-উপজেলা ও জেলা পরিষদে নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে নির্বাচন কখন হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে আগে। তাছাড়া সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে এখনো পরিকল্পনা করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। এলজিআরডি উপদেষ্টা বলেন, প্রশাসক পরিচালিত হলেও স্থানীয় সরকারের সেবা নিশ্চিতে কোনো ছাড় দেবে না মন্ত্রণালয়।