এম, এ কাশেম বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম :: চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুর-ষোলশহর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দু’পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ ছাড়া কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায়ও ঘটেছে।
তবে, একই স্থানে পুলিশ সসদ্যদের অবস্থান দেখা গেলে ও তারা ছিলো কার্যত ‘নিষ্ক্রিয়’ বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৪ টার দিকে চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে পাওয়া সংবাদে প্রকাশ।
দু’পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত হওয়া এক চাকরিজীবী বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতি করি না। আমি কোনো দল করি না। তবু ও আমার ওপরে হামলা হয়েছে, আমি রক্তাক্ত হয়েছি। পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে, কিছুই বলছে না। আল্লাহর কাছে প্রত্যেককে জবাব দিতে হবে।’
এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নগরীর ষোলশহরে জমায়েত হতে থাকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ দিকে, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির নের্তৃত্বে ছাত্রলীগের একটি অংশ মিছিল সহকারে ষোলশহর দুই নম্বর গেট থেকে মুরাদপুরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শেষ মুহূর্তের খবরে জানা গেছে, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই/যারা বলে রাজাকার তাদের আবার কি অধিকার’ এমন শ্লোগান দিতে দিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে আন্দোলন কারীদের অবস্থান এর দিকে যেতে দেখেছেন এমন অনেকেই বলছেন- দু’পক্ষ যদি মূখোমুখী হয়ে যায় তাহলে যে কোনো মুহুর্তে বড় ধরনের রক্তপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, এমনোতর: অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও প্রস্তুতি নিয়ে মধ্যে স্থানে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।