মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা,
বালিয়াকান্দিপ্রতিনিধি:
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকার মোঃ নজরুল শেখ এর ছেলে,মোঃ রাশেদুল শেখ (২৭) এর সাথে সুমি খাতুনের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়, বিদেশ যাওযার আগে স্ত্রীর নামে ব্যাংক একাউন্ট না খোলায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত কাল রোববার (১৪ জুলাই ) বিকালে, এরশাদ ফকির, ৮-৯.জনলোক নিয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আসে, মেয়ের জামাই রাশেদুল শেখ এর কাছে জানতে চায়, আমার মেয়ের নামে কেন ব্যাংক হিসাব খুলা হয় নাই, মেয়ের জামাই রাশেদুল বলেন এটা আমাদের পারিবারিক ব্যাপার, এ কথা শুনে এরশাদ ফকির রাগ করে, মেয়ে সুমি খাতুনের নামে ব্যাংক হিসাব না খুলার কারণে জামাই এর মাথায় দা-দিয়ে কোপ দেয় এবং বিয়াই নজরুল শেখ, ও বিয়ান রোজিনা বেগম কে বেধড়ক মার-ধর করে ও বিবস্ত্র করে ফেলে ইজ্জত বাচাতে রোজিনা বেগম পুকুরে ঝাঁফদেয়।
মোঃ নজরুল শেখ বলেন, আমার ছেলে রাশেদুল কে পার্শ্ববর্তী ঘোড়ামারা গ্রামের মোঃ এরশাদ ফকির এর কন্যা মোছাঃ সুমি খাতুনের সাথে দুই বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে রেজিস্ট্রি কাবিননামা মূলে বিবাহ দেওয়া হয়। বিবাহের পর থেকেই আমার বিয়াই (ছেলের শ্বশুর) নানা অজুহাতে আমার বাড়ীতে এসে অশান্তি সৃষ্টি করে। তার মেয়ের নামে জমি লিখে দিতে বলে, আমার ছেলে রাশেদুল শেখ জীবন-জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ইতিমধ্যে তার পাসপোর্ট, ভিসাও সব হয়েছে। এই খবর পেয়ে আমার বিয়াই আমার ছেলের বিদেশে যাওয়ার পূর্বে আমার পুত্রবধূ সুমি খাতুন এর নামে ব্যাংক হিসাব খুলে যাওয়ার জন্য ছেলের উপর চাপ দিতে থাকে, ছেলে রাজী না হওয়ায় আমার বিয়াই এরশাদ ফকির ক্ষিপ্ত হয়ে, আমার ছেলে কে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে, এরশাদ ফকির (৪৫) মেহের মন্ডল (২৬) কলম মন্ডল (৩০) জামাল মন্ডল (৪৮) বক্কার শেখ (৪৫) হামলা করে, আমার বারান্দায় থাকা দা এনে ছেলের মাথার মাঝখান বরাবর সজোরে কোপ মারে মারাত্মক রক্তাক্ত ও যখম হয়। আমি এর প্রতিবাদ করলে এ সময় অন্যারা আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি মারে আমার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে, এরশাদ ফকির ও কলম মন্ডল আমার স্ত্রী রোজিনা বেগম কে টানা-হেচরা করে কিল-ঘুষি,লাথি মারতে থাকে আমার স্ত্রী বিবস্ত্র হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। তখন সে প্রাণের ভয়ে ও ইজ্জত বাঁচতে বাড়ীর পাশের পুকুরে ঝাঁপ দিলে এরশাদ ফকির, কলম মন্ডল ও বক্কার শেখ পুকুরে নেমে আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে পানিতে চুবাই এসময় তারা আমার স্ত্রী স্পর্শকাতর স্থান সমূহে হাত দেয়। এ অবস্থায় আমি, আমার স্ত্রী ও আমার পুত্র রাশেদুল এর চিৎকারে শুনে পার্শ্ববর্তী রবিউল, পিতা- আহম্মদ ফকির, মোঃ রাকিব, পিতা- রেজাউল শেখ, মোছাঃ নাছিমা বেগম, স্বামী- মোঃ হানেফ শেখ সহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসে, তখন বে-আইনী ও অবৈধভাবে রাশেদুল এর ঘরে প্রবেশ করে, ঘরে থাকা জিনিসপত্র ভাংচুর করে, এরশাদ ফকির টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে বিদেশে যাওয়ার জন্য জমাকৃত নগদ (দুই লক্ষ) টাকা, দুইটি স্বর্ণের রুলি, দুইটি কানের দুল, ও একটি গলার চেইন, যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ টাকা এবং সুমি খাতুন ও তার (সাত) মাসের কন্যাকে নিয়ে যায়। আমার ছেলে চিকিৎসাধীন আছে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা করেছি।
বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।