সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রুগী সেজে ( দুদক ) এর অভিযান। জাতীয় নির্বাচন কবে, বললেন প্রধান উপদেষ্টা আজ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। পরিত্যক্ত অবস্থায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিস্তল উদ্ধার চুয়াডাঙ্গায় ত্রাণের ১৫০টি কম্বলসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক কুটুরিয়া আইডিয়াল মাদরাসায় মক্তবের ছাত্র-ছাত্রীদের ছবক প্রদান ও দোয়ার অনুষ্ঠান ইউপি চেয়ারম্যান – মেম্বরদের মেয়াদ হবে ৩ বছর বাস্তবতা স্বীকার করে সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, সাড়ে ৩০০ মতো ইউপিতে দায়িত্বশীল কেউ ছিল না। সেখানে প্রশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। বাতিল করলে গ্রাম পর্যায়ে সেবাপ্রাপ্তিতে ধাক্কা লাগবে। কেননা, একটি গ্রাম নিয়েও ওয়ার্ড গঠিত। সেজন্য ইউপি ভেঙে দিয়ে গ্রাম পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দেওয়ায় ব্যাঘাত হোক সেটি চায় না সরকার। তিনি বলেন, আপাতত প্রশাসক পরিচালিত সিটি-পৌরসভা-উপজেলা ও জেলা পরিষদে নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে নির্বাচন কখন হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে আগে। তাছাড়া সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে এখনো পরিকল্পনা করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। এলজিআরডি উপদেষ্টা বলেন, প্রশাসক পরিচালিত হলেও স্থানীয় সরকারের সেবা নিশ্চিতে কোনো ছাড় দেবে না মন্ত্রণালয়। দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে রিটের শুনানি হতে পারে আজ

র‍্যাবের অভিযুক্ত ডিএডিকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর, এখনো উদ্ধার হয়নি স্বর্ন

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪
  • ৫৮ বার পঠিত

দৈনিক নিশান: র‍্যাবের ডিএডি শামীমুজ্জামানের নেতৃত্বে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ৯৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় গতকাল রোববার আদালতে তিন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে সেনাসদস্য হওয়ায় ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ডিএডি শামীমুজ্জামানকে এ দিন সেনাবাহিনীর কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ লুট হওয়া স্বর্ণ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি।

আদালতে দায় স্বীকার করা আসামিরা হলেন– সম্রাট মৃধা, আমিজ উদ্দিন ও মিরাজুল শেখ। শামীমুজ্জামান ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন– সিদ্দিক শেখ, মো. সুমনসহ অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনজন। গত শনিবার রাতে স্বর্ণ লুট ও মারধরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে সিংগাইর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সুমন হাওলাদার।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ব্যবসায়ী সুমনের বাড়ি ঢাকার দোহারের পূর্ব লটাখোলা গ্রামে। দোহারের জয়পাড়া বাজারে নির্ঝর অলংকার নিকেতন নামে তাঁর একটি দোকান রয়েছে। গত শনিবার সকালে পূর্ব নটাখোলা গ্রামের বাড়ি থেকে দোকানের দুই কর্মচারীসহ একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে করে ৯৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের পাত নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তিনি যান সিংগাইরের চারিগ্রাম বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের কাছে। সকাল ৭টার দিকে সিংগাইরের জামশা আমতলা এলাকায় তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি থামায় নিজেদের র‌্যাব পরিচয় দেওয়া সাত থেকে আটজন। এর পর সুমন ও তাঁর দুই কর্মচারীকে মারধর করে স্বর্ণের ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে তাদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে তোলা হয় একটি হাইয়েস গাড়িতে। এর পর র‌্যাব পরিচয় দেওয়া তিনজন তাদেরসহ গাড়িটি নিয়ে সিংগাইরের দিকে রওনা হয়। পেছনে দুটি মোটরসাইকেলে করে চার থেকে পাঁচজন স্বর্ণের ব্যাগটি নিয়ে অন্যত্র চলে যায়।

গাড়িটি জামশা বাজারে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন সেটিকে আটক করে। এ সময় সুমনসহ তিনজনকে গাড়ি থেকে উদ্ধার করে এবং র‍্যাব সদস্য পরিচয় দেওয়াদের গণপিটুনি দেয় স্থানীয় লোকজন। অন্যদিকে সিংগাইরের গোলাইডাঙ্গা বাজারের লোকজন মোটরসাইকেলে পালিয়ে যাওয়া আরেকজনকে আটক করে। চার ডাকাতকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলেও তাদের লুট করা স্বর্ণ পাওয়া যায়নি। ওই দিন রাতেই সুমন হাওলাদার সিংগাইর থানায় মামলা করেন।

সিংগাইর থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম বলেন, সম্রাট, মিরাজুল, আমিজ এবং শামীমুজ্জামানকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শামীমুজ্জামান সেনাসদস্য। তিনি র‍্যাব-১-এ গাজীপুর ট্রেনিং সেন্টারে ডিএডি হিসেবে কর্মরত। সেনাসদস্য হওয়ায় তাঁকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সামরিক আদালতে তাঁর বিচার হবে। শামীমুজ্জামানের পরিকল্পনাতেই আসামিরা ওই হাইয়েস গাড়িটি ভাড়া করেছিল। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ওই গাড়ি, র‍্যাবের আইডি কার্ড ও র‍্যাব লেখা স্টিকার জব্দ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ির চালক জানিফকে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার এবং লুট হওয়া স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান চলছে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ

বাস্তবতা স্বীকার করে সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, সাড়ে ৩০০ মতো ইউপিতে দায়িত্বশীল কেউ ছিল না। সেখানে প্রশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। বাতিল করলে গ্রাম পর্যায়ে সেবাপ্রাপ্তিতে ধাক্কা লাগবে। কেননা, একটি গ্রাম নিয়েও ওয়ার্ড গঠিত। সেজন্য ইউপি ভেঙে দিয়ে গ্রাম পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দেওয়ায় ব্যাঘাত হোক সেটি চায় না সরকার। তিনি বলেন, আপাতত প্রশাসক পরিচালিত সিটি-পৌরসভা-উপজেলা ও জেলা পরিষদে নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে নির্বাচন কখন হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে আগে। তাছাড়া সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে এখনো পরিকল্পনা করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। এলজিআরডি উপদেষ্টা বলেন, প্রশাসক পরিচালিত হলেও স্থানীয় সরকারের সেবা নিশ্চিতে কোনো ছাড় দেবে না মন্ত্রণালয়।