স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, মানুষের মৌলিক অধিকার, ডিজিটালাইজেশন, গণমাধ্যম সংস্কার এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি কথা বলতে এসেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে বহির্বিশ্বে নানারকম অপপ্রচাররোধ ও গণহত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ সহযোগিতা চান তিনি। এছাড়াও তিনি গণঅভ্যুত্থানে আহত নিহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ও ইইউ’র সহযোগিতা চান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। কারণ সংস্কার যদি সঠিকভাবে না হয়, তাহলে নির্বাচন ফলপ্রসূ হবে না। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডেমোক্রেটিক ট্রানজেশন চাচ্ছি। তার আগে বেসিক কিছু সংস্কার করতে চাই। আমাদের এখন মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।
তিনি বলেন, উন্নয়ন সহযোগি সংস্থার সঙ্গে চলমান প্রকল্পগুলো অব্যাহত থাকবে, তবে কিছু প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, সাইবার সিকিউরিটি, ই গভর্নেন্স, ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ডেটা প্রটেকশন, আইটি সেটআপ নিয়ে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। তাছাড়া যে কোনো কারিগরি বিষয়ে তারা পরামর্শ দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। আইসিটি বিভাগের সঙ্গে দশ মিলিয়ন ইউরো’র ই ইফেক্টিভ গভর্নেন্স বিষয়ক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন তিনি।
উপদেষ্টা অনলাইনে অপপ্রচার রোধে ইইউর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, মিডিয়ার গুণগত মান ও পেশাদারিত্ব কিভাবে বাড়ানো যায় সে কথা ভাবা হচ্ছে। শুধু সরকার বা আইন দিয়ে মিডিয়ার গুণগত মান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। মিডিয়ায় পেশাদারিত্বের চর্চা দরকার সেজন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তরুণ মেধাবীরা যেন মিডিয়ায় কাজ করতে আগ্রহী হয়, সেজন্য তাদের সিকিউরিটি এবং বেতন কাঠামো নিয়ে ভাবা হচ্ছে।