ভ্রমন অভিজ্ঞতা,
মামুন হামিদী:
ঘটনাটা ২০২২ সালে হবে করোনার পরপরই,কক্সবাজারে গিয়েছিলাম বোনের বাড়িতে,খুলনা হতে ইম্পেরিয়াল এসি বাসে উঠে পড়লাম ইদের দিতীয় দিন,পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা ক্রস করলাম মাঝরাতেই,এর পর কুমিল্লা সহ কয়েকটি স্পটে ভি আই পি রেস্টুরেন্টে বাস দাড়ায়,তারপর আবার শুরু হয় পথ চলা,চলতেই থাকে চলতেই থাকে,আড়া আড়ি ভাবে বাংলাদেশের এ মাথা ও মাথা,মাঝে শীতলক্ষাসহ বড় বড় নদী পার হয়,এরপর পৌছায় বানিজ্যিক রাজধানি চট্টগ্রাম, তারপরও থাকে বহু পথ, পাহাড়ের ঢাল বেয়ে রাস্তা চলে যায় কক্সবাজারের দিকে,দূরে পাহাড়গুলি দেখলে গায়ের লোম দাড়িয়ে যায়,সকালে পৌছে যাই কক্সবাজার, ভাইয়া আগেই স্টেশনে দাড়িয়ে ছিল,সেখান থেকে সোজা বোনের বাড়ি, লিফট নস্ট থাকায় হেটেই উঠি সাত তলায়,বিকালে ভাগনিকে সাথে নিয়ে যাই জেলেদের জেটি আর নৌকা মেরামতের জাগায়,জেলেপল্লির মহাজনের কাছে বন্দি দশার গল্প শুনতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে,তাই আমরা ফিরে আসি আপন নীড়ে।
তো আসি আসল কথায়,সাগর পাড়ের গল্প যেহেতু আগে একদিন করেছি তাই আজ হবে ঝর্না আর পাহাড়ের গল্প।
ভাইয়া আমাদের নিয়ে একদিন বেরোলেন ঘুরতে কিছুখাবার দাবার নিয়ে একটি গাড়ি রিজাপ করে সারাদিন আমরা ঘুরলাম সৈকত আর পাহাড়ে পাহাড়ে,ইনানি, কলাতলি,মিনি বান্দরবান যেখান থেকে মিয়ান মার দেখা যায় আর দেশের একমাত্র শিতল পানির ঝর্না হিমছড়িতে গেলাম আমরা।
হিমছড়িতে পৌছে ঝর্নার পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলে আমরা পাহাড়ের চুড়ায় উঠে গেলাম যেখানে দাড়িয়ে সাগর দেখা যায়, একপাশে সাগর আরেকপাশে পাহাড় বাংলার প্রাকৃতিক নিদর্শনের লিলাভুমি যেন এটা,খাড়া পাহাড়ের সিড়ি বেয়ে উঠতে ভয় লাগছিল,এর মধ্যে একজন গড়িয়ে পড়তে লাগলো পাহাড় থেকে, আমি আর বসে না থেকে নায়কের মত ধরে ফেললাম তাকে, ঘটনাটা আমাদের পাহাড়ে উঠার ভয় আরো বাড়িয়ে দিল।
কিন্তু তারপরও আমরা যাত্রা পুর্ন করে বাড়ি ফিরি,যেভাবে এভারেস্ট আরোহিরা অসংখ্য লাশ দেখেও দমে যায় না।যা হোক বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত,পরদিন আবার বিকালের দিকে একা একা সাগরের পাড়ে হাটতে যাই,প্রতিষ্ঠানের ছুটি বেশি না থাকায় বেশি দিন থাকা হয় না,দ্রুতই রওনা করতে হয় আবার খুলনার পথে।