মোঃ শিহাব উদ্দিন, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,
গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ( দুদক ) এর অভিযান আজ সকাল ০৯: ঘটিকা হতে দুপুর ১ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, গোপালগঞ্জ-এর উপপরিচালক মো: মশিউর রহমান এর নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়, মো: সোহরাব হোসেন-সোহেল,উপসহকারী পরিচালক আফছার উদ্দিন ও মো: আল- আমিন হোসেন এর সমন্বয়ে গঠিত টিম গোপালগঞ্জ জেলা শহরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ -এ সরেজমিনে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের শুরুতে ৯.০০ হতে ১০.৩০ পর্যন্ত গোপনে রুগী সেজে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের ভিডিও ধারণসহ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
পরিদর্শনকালে টিমের নিকট গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের যেসকল অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে তা
বিপুল পরিমান চিকিৎসা প্রত্যাশি জনগণ উপস্থিত থাকলেও আউটডোরে অধিকাংশ ডাক্তার ও কর্মচারী অনুপস্থিত ছিলেন বিধায় অনেকে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না মর্মে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কয়েকজন ডাক্তার বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন মর্মেও তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এমআরই, সিটি স্ক্যান মেশিন দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে অচল রয়েছে। একটি সিন্ডেকেট ইচ্ছাকৃতভাবে মেরামত না করে জনগণকে উচ্চ মূল্যে বেসরকারী হাসপাতাল থেকে সেবা নিতে বাধ্য করছেন মর্মে জানা গেছে। এ বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
এক্স-রে মেশিন এর ফ্লিম না থাকার অযুহাতে দীর্ঘসময় এক্সরে করতে না পারায় সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সার্টিফিকেট বাণিজ্যে জড়িত হাসপাতালের কয়েকজনের সিন্ডিকেট এর সন্ধান পাওয়া গেছে। ৫০০০/- থেকে ৫০০০০/- নিয়ে পুলিশ কেস সংক্রান্ত মেডিকেল সনদ বাণিজ্য হচ্ছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ তৎক্ষনাৎ চাকরি রত এক ব্যক্তি স্বাক্ষর করেন।
ইসিজি মেশিন ব্যবহারে ৪০০-৫০০ টাকা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা এবং ট্রলি ব্যবহারকারীদের থেকে অর্থ আদায় করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। জানা গেছে দুদকের এই অভিযান, অব্যাহত থাকবে
গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক জিবিতেশ বিশ্বাসের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু অনিয়ম থাকতে পারে, তবে তাৎহ্মনিক সব সত্য এটা প্রমান করা সম্ভব নয়,সময় নিয়ে তদন্ত করলে বোঝা যাবে কতটা অনিয়ম ও দূর্নীতি সঠিক।
দুদকের এ অভিযানে সাধারন জনগনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা অত্যান্ত খুশি ও আনন্দিত, আমরা মনেকরি এখন থেকে গোপালগঞ্জ এই হাসপাতালে সঠিক সেবা পাবে সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে দুদক উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, ‘দীর্ঘ সময় ধরে এই হাসপাতালটি পর্যবেক্ষণ করেছি। ডাক্তাররা সঠিক সময়ে হাসপাতালে আসেন না, রোগীরা কেন হাসপাতালের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তা তদন্ত করে দেখছি।’